
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাখনুন সুলতানা মাহিমা।
নেপালের পাহাড়ি শহর আজ রাজনৈতিক অস্থিরতায় কাঁপছে, অথচ ১০ মাস আগে মাহিমার চোখে ধরা শান্ত মুহূর্তগুলো তার স্মৃতিতে আজও জীবন্ত। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী মাখনুন সুলতানা মাহিমা প্রচণ্ড আশাবাদী—নেপালের ক্ষত দ্রুত সেরে উঠবে, শান্তি ফিরবে, এবং মানুষ আবার সম্ভাবনার আলোয় এগোবে। তার নেপাল ভ্রমণের ছবিগুলো তাই শুধু ভ্রমণ নয়; এগুলো যেন শান্তি, সৌন্দর্য ও শুভকামনার এক নিঃশব্দ প্রার্থনা। ছবি তুলেছেন—সুলতানা মেহজাবীন টুসি।

আকাশের নীল আমাকে স্থির করে, আর প্রকৃতির সবুজ আমাকে বাঁচিয়ে রাখে।

নীল হলো সেই রঙ, যা মনকে প্রশান্ত করে, আবার পাহাড়ের মতো দৃঢ়তা দেয়। দিগন্তের নীল আমাদের ভেতরের মুক্তির প্রতীক।

আকাশের নিচের যাত্রা কখনো বাইরের নয়; সবই অন্তরের দিকে — যা আমাদের শেখায়, দিগন্তের কোন শেষ নেই।

দিগন্তের ওপারে লুকিয়ে আছে অজানা সম্ভাবনা—পেতে হলে প্রয়োজন শুধু প্রথম পদক্ষেপের।

কিছু প্রাচীন স্থাপত্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়—ভ্রমণ শুধু জায়গা বদল নয়; বরং এটি এমন এক অন্তর্গত যাত্রা, যেখানে মানুষ প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করে।

যাত্রা-বিরতি সেই নীরব মুহূর্ত, যা আমাদের আবার নতুন গন্তব্যের দিকে এগোতে উদ্বুদ্ধ করে।

ভ্রমণ হচ্ছে সেই অদ্ভুত বিনিয়োগের যায়গা, যেখানে টাকা উড়িয়ে আমরা ধনী হই।

আমরা সকলে একই আকাশের নিচে বাস করি, কিন্তু আমাদের সকলের দিগন্ত এক নয়।

কোনো যাত্রাই শেষ হয় না; এটি নিঃশব্দে রূপান্তরিত হয়। এবং আমাদের নতুন গন্তব্যের দিকে ধাবিত করে।

প্রকৃতি শেখায়—পথ চলার পর বিরতি নাও, জীবনকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নাও; যেমন আমি মেনে নিই প্রতিটি ঋতুকে।
দশ মাস আগের মাহিমার সেই নেপাল ভ্রমণ আজ নতুন অর্থ বহন করছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও নেপালের আত্মা শান্তির প্রতীক। পাহাড়ের নিস্তব্ধতা, মানুষের হাসি এবং প্রকৃতির ডাক—সবই শান্তি আর সম্ভাবনার বার্তা। মাহিমা বিশ্বাস করেন, নেপাল দ্রুত স্থিতিশীল হবে এবং মানুষের মনে শান্তি ফিরে আসবে। তার এই ছবিগুলো শুধু ভ্রমণের স্মৃতি নয়; এটি নেপালের মানুষের জন্য আন্তরিক শুভকামনা এবং শান্তির বার্তা।